Sunday 27 June 2021

অসমের জাতীয় উদ্যান (ছোটদের ছড়া)

     

অসমের জাতীয় উদ্যান (ছোটদের ছড়া)

                 শ্রীবরুণ, ২৭/০৬/২০২১


কাজিরঙা উদ্যানে

                    ঘোরে ফেরে গণ্ডার,

এক খানা শিং তাই

                    বিখ্যাত নাম তার।

ডিব্রু শইখোয়ায়

                    ঘোড়াদের বিচরণ,

শোনা যায় হামেশাই

                    পশুদের গর্জন।

মানসের জঙ্গলে

                    ঘাস খায় বুনো মোষ,

ক্ষেপে গেলে নাক দিয়ে

                   করে শুধু ফোঁস ফোঁস।

নামেরির হরিণেরা

                   ছুটে যায় লাফিয়ে,

পিছু পিছু চিতা বাঘ

                   প্রায় যায় হাঁপিয়ে।

ওরাঙের বনে বনে

                   কত পাখি গান গায়,

হাতি এসে শুঁড় দিয়ে

                   লতাপাতা ছিঁড়ে খায়।

দিহিং পাটকাইয়ে

                   ঘুরে ফেরে ভল্লুক,

ডালে ডালে ঝোলে সেথা

                   লেজহীন উল্লুক।

রাইমনা উদ্যানে

                   বেঙ্গল টাইগার,

শত শত প্রজাপতি

                   ধনেশের সমাহার।

জাতীয় উদ্যানে,

                   চলো যাই ছুটিতে,          

জিপ সাফারি অথবা

                   পিঠে চড়ে হাতিতে।        


Saturday 26 June 2021

আমার পরিবার (ছোটোদের ছড়া)

 

আমার পরিবার

                                                               শ্রীবরুণ, ২৬/০৬/২০২১

গাছের ডালে ভোরের পাখি

সুর তুলেছে ওই,

মা বলে, ওঠ্‌ খুকি এবার

পড়তে হবে বই।

ঠাম্মা-দাদুর দারুণ প্রিয়

গুড় মুড়ি আর দই,

বাজার থেকে বাবা ফেরে

সঙ্গে মাগুর কই।

কাকা মামা বন্ধু আমার

কাকি মামি সই,

ভাইটা ভীষণ দুষ্টু ছেলে

হামেশা হইচই।

আর আছে এক বেড়াল ছানা

সে বড্ড ছোটই

ঝুমুর ঝুমুর ঘণ্টা বাজে

হাঁটে সে যতই।

 

 

Sunday 13 June 2021

ফল (বাচ্চাদের জন্য ছড়া)

                                ফল

শ্রীবরুণ, ২১.০৪.২০২১

আম খেতে মিষ্টি, জলপাই টক টক,
কাঁদি কাঁদি কলা গেলে গোগ্রাসে ভক্ষক।
তরমুজ খরমুজ ফুটি গাব আলাদা,
অনারস ভরারস, প্লাম খায় ভোলা দা।
কামরাঙা রাঙা নয়, তারা যেন কাটলে,
বেল খুব কষ্টের টাকে পড়ে ফাটলে।
কমলার বিচি খেলে গাছ হয় মাথাতে,
দাড়িগোঁফ একাকার কাঁঠালের আঠাতে।
ক্ষেপে গেলে পেঁপে খায় ও পাড়ার বিমলা,
কচকচে পেয়ারার বিচিগুলো ঝামেলা।
গোলাপজামুন হায় কেন নয় গোলাপি,
কেশরআলুটা ভাই আলু নয় চালাকি।
মোসাম্বি রস ভালো, নুন মাখা কাঁচা কুল,
খেজুরের বাহাদুরি, ফিটফাট জামরুল।
তালে ঠিক আছে যারা তাল চেপে বাটিতে,
টসটসে পাকা জাম ফেটে যায় মাটিতে।
শসা ভারি সংশয়ে সবজি না ফল সে,
আখ থেকে দূরে থাকে যারা খুব আলসে।
জম্বুরা বুড়া নয় সে তো এক ফুটবল
ভয় কেন পাও? ওটা নাগ নয় নাগফল।
তেঁতুলের বিচি দিয়ে খেলা করে শিশুরা,
লিচু গাছ ঢেকে রাখে মশারিতে বিশুরা।
বেদানার দানাগুলো টুকটুকে মুক্ত,
খেয়েছ কি এ জনমে আঙুরের সুক্ত?
ডাবে জল সুশীতল কী নরম শাঁসটা,
বাঙি কেন পানসে? আমড়াটা কষ্টা?
বিচি কম আপেলের তাই মনে দুঃখ,
আখরোট ফল হয়ে কেন এত রুক্ষ?
আতা গাছে বসে নাকো তোতা পাখি আজকাল,
হাতে হাতে পেকে যায় গোল গোল পানিয়াল।
বৈঁচিকে বিখ্যাত করা যায় কী দিয়ে?
করমচা ভরপুর ভিটামিন সি দিয়ে।
জোড়া কেন থাকে কাজু? চেরি মাখে আলতা?
আচারের বয়ামে তেলে মজে চালতা।
পানিফল জলে থাকে এ কথাটা মানো তো,
সজারুর প্রিয় ফল নাশপাতি জানো তো।
তুলতুলে লটকন তাই মোটা চর্ম,
আমলকি খেলে পরে জল খাওয়া ধর্ম।
শুনেছি মাকাল নামে আছে একখানা ফল,
টুকটুকে দেখতে টুসটুসে ঝলমল,
দেখলেই মনে হয় ছিঁড়ে নিয়ে খাই খাই,
রূপে ভুলে ছোটে যারা পায় শুধু ছাই ছাই।